শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছা উপজেলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী ও সুনামধন্য বানিজ্যিক মোকাম কপিলমুনি বাজারের প্রাণকেন্দ্রে আবাসন বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ।
কপিলমুনিকে বাঁচাতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তারা। একইভাবে নির্মানাধীন ঘর বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর।
জানাযায়, দক্ষিণ বঙ্গের প্রাচীন তম কপিলমুনি অতীত আমল থেকে সুনাম ধরে রাখলেও বর্তমানে একটি কুচক্রী মহলের হীন মানসিকতায় তছনছ হতে বসেছে রাজস্ব আয় সমৃদ্ধ বৃহৎ এ বাজার। বৃহৎ এ বাজারের নেই কোন অভিভাবক। বাজারের সৌন্দর্য বর্ধনে নেই সুষ্ঠু পরিকল্পনা। প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু মহাশয়ের সুপরিকল্পনা আর সাধনায় এলাকার মানুষের কল্যানে প্রতিষ্ঠা ও প্রসিদ্ধি লাভ করলেও মুলত তার যোগ্য উত্তরসূরীর অভাবে রায় সাহেবের কোমল স্পর্শে প্রতিষ্ঠিত কপিলমুনি বাজারের পরিধি ও সুন্দর গঠনে তেমনটি আগ্রসর হতে পারেনি। রায় সাহেবের পরে যারা ইতোপূর্বে কপিলমুনি বাজারের নের্তৃত্ব দিয়েছেন তারা কিছুটা ধারাবাহিকতা রক্ষা করলেও আজ সুষ্ঠু নের্তৃত্বের বড়ই অভাব দেখা দিয়েছে। চলছে হরিলুটের খেলা।
বাজারের সৌন্দর্য বর্ধনে অতি প্রয়োজনীয় মুল্যবান জমিগুলো ভুমি সংশ্লিষ্ট অফিসের এক শ্রেনীর দালাল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিমিষেই দখল হয়ে যাচ্ছে মুল্যবান এ সব সম্পত্তি। ৫৮ লক্ষ টাকা বার্ষিক রাজস্ব আয়ের উৎস কপিলমুনি বাজারের শ্রীবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে না তাকিয়ে বরং উক্ত বাজারের মুল্যবান সম্পত্তি অব্যাবস্থাপনায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে মূল্যবান জমি আবাসনের ঘর বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের এমন অদূরদর্শিতা ও খামখেয়ালীপনা ভাল চোখে দেখছে না এলাকাবাসী। তাদের দাবি, বাজার অভ্যান্তরে এসব মুল্যবান জমিতে আবাসনের ঘর দেওয়া কতটা যুক্তিসংগত। এদিকে মুল্যবান এ সব জমি পেতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছুটছে অনেকেই। একদিকে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার ঘর অন্যদিকে ২০ লক্ষ টাকার জমি পেতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মরিয়া ইচ্ছুকদের অনেকেই। এদিকে বাজার কেন্দ্রীক আবাসনের ঘর বরাদ্দ দেয়ায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী।
গত (শুক্রবার ২৪ জুন) এলাকাবাসী বাজার অভ্যান্তরে আবাসনের নির্মানাধীন জায়গায় গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের দাবি রাজস্ব সমৃদ্ধ কপিলমুনি বাজারকে আধুনিকায়ন করতে এ সম্পত্তির প্রয়োজন অপরিহার্য। ফলে অবিলম্বে নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে গত ২৭ জুন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।